কম্পিউটারকে ফাস্ট করুন অতি সহজে।

আজ আমি গুরুত্বপূর্ণ একটি টিউন করব এবং পর্যায়ক্রমে এটি চলতে থাকবে। আজ তাই প্রথম পর্ব দিয়ে শুরু করলাম। আমরা কম্পিউটার এ বিভিন্ন প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করে থাকি, আর কাজ করতে গিয়ে নানা সমস্সায় পড়তে হয়। সমাধান করতে গিয়ে বিপাকেও পড়তে হয়, কখনো অপারেটিং সিস্টেম এর সমসসা, কখনো ডিভাইস এর সমসসা, কখনো অনেক অদ্ভুত সমসসা। নানা সমসার সমাধান দিতে আমি এ টিউন নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। প্রথমেই আমি কম্পিউটার স্লো হয়ে গেলে দ্রুত করার কয়েকটি সমাধান নিয়ে আলোচনা করব। এতে কাজের গতি বৃদ্ধি পাবে, অহেতুক ঝামেলা নিয়ে অতিরিক্ত টেনসন করতে হবে না।

আমরা অনেকে এক্সপি, ২০০০, সেভেন কিংবা এইট ইউস করি, আবার কিছু অফিস আদালতে এখনো ৯৮ ইউস করতে দেখা যায়। আমরা কতটুকু ডিজিটাল হতে পেরেছি এটা দেখে মনে প্রশ্ন জেগে যায়। যাইহোক, যা বলছিলাম, সকল অপারেটিং সিস্টেমে সমসার টাইটেল একই হলেও সমাধানের প্রকার একটু ভিন্ন। তবুও সমাধান এর পদ্ধতি খুব কাছাকাছি, আমরা ধারাবাহিকভাবে এ বিষয়ে আলোচনা করব। আসুন দেখে নেই স্পীড বাড়ানোর জন্য কোন কোন ফর্মুলা এপ্লাই করা যেতে পারে।

প্রথমে মাই কম্পিউটার  এর প্রপার্টিস এ যান।

কম্পিউটার ওপেন করুন

তারপর  এডভান্স অপশন সিলেক্ট  করুন।

তারপর  এডভান্স অপশন সিলেক্ট  করুন।

পারফরমেনস অপশনস এর থার্ড অপশন এডজাস্ট ফর বেস্ট পারফরমেন্স সিলেক্ট করে ok করি।

পারফরমেনস অপশনস এর থার্ড অপশন এডজাস্ট ফর বেস্ট পারফরমেন্স সিলেক্ট করে ok  করি।
তারপর ডেস্কটপ এ  right বাটন ক্লিক করে প্রপার্টিস এ গিয়ে থিমস এ Windows ক্লাসিক সেট করে নিন, তারপর ok করুন। কাজটি ok করার পর স্ক্রিন সেভারও অফ করে রাখুন। এর ফলে আপনার কম্পিউটার এর গ্রাফিক্স এফেক্ট  অফ হয়ে যাবে, রেম এর উপর চাপ কম হবে, যার ফলে আগের চেয়ে বেশি স্পীড পাবেন।

ভার্চুয়াল মেমরি বাড়িয়ে নিন :

প্রথমে মাই কম্পিউটার  এর প্রপার্টিস গিয়ে  এডভান্স অপশন সিলেক্ট  করুন, পারফরমেন্স অপশন এর  সেটিং এ ক্লিক করে আবার advance এ ক্লিক করুন।   পারফরমেন্স অপশন এর ভার্চুয়াল  মেমরি এর change অপশন এ ক্লিক করুন।
এখানে কাস্টম সাইজ এ আপনার রেম এর মেমরির দিগুন সাইজ সেট করুন ইনিশিয়াল সাইজ এ, আর  তার ডাবল সাইজ সেট করুন  মাক্সিমাম সাইজ এ, তারপর ok করে রিস্টার্ট চাইলে রিস্টার্ট দিন।

অতিরিক্ত সকল ফাইল রিমুভ করুন:

স্টার্ট মেনুতে ক্লিক করে রান এ ক্লিক করুন, তারপর লিখুন “prefetch” এন্টার দিন, সকল ফাইল মুছে ফেলুন।
রান ওপেন করুন
একইভাবে  temp  %temp% cookies  inf  লিখে একে একে এন্টার দিয়ে সব ফাইল মুছে ফেলুন।




এখন দেখুন  আপনার কম্পিউটার আগের চেয়ে দ্রুত গতির হয়েছে।  চলবে …
পর্ব ২ঃ
পর্যায়ক্রমে এটি চলতে থাকবে। অনাকাঙ্খিত স্টার্ট আপ আইকন গুলো অফ করে রাখুন। এজন্য প্রথমে স্টার্ট মেনুতে গিয়ে রান এ ক্লিক করুন, লিখুন msconfig এন্টার দিন, সিস্টেম কনফিগারেশন ইউটিলিটি ডায়লগ বক্স আসবে, তারপর স্টার্টাপ অপশন সিলেক্ট করে Disable All ক্লিক করে ওকে করুন।
msconfig
কম্পিউটার রিস্টার্ট চাইবে রিস্টার্ট দিলে ডেস্কটপ এ একটি ডায়লগ বক্স আসবে তাতে টিক দিয়ে ওকে করলেই কাজ শেষ
ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে যেকোনো ডিভাইস অটোপ্লে হওয়া বন্ধ করুন। এজন্য প্রথমে স্টার্ট মেনুতে গিয়ে রান এ ক্লিক করুন, gpedit.msc  লিখে  এন্টার দিন, তারপর Group Policy তে কম্পিউটার কনফিগারেশন এ সিস্টেম অপশন ক্লিক করলে ডান পাশে Turn off Autoplay দেখা যাবে, এটির প্রপার্টিস এ যেতে হবে।
gpedit.msc
তারপর  Turn off Autoplay প্রপার্টিস ডায়লগ বক্স আসবে, এখানে Enabled ক্লিক করে All  drives সিলেক্ট করে ওকে করুন
All  drives
Windows Firewall অফ করে দিন, অনাকাঙ্খিত মেসেজ থেকে রেহায় পাবেন,  পাশাপাশি এর্রর রিপোর্ট ও disable করে রাখুন।  এজন্য স্টার্ট মেনুতে গিয়ে সেটিং এ গিয়ে কন্ট্রোল পানেল থেকে সিকিউরিটি সেন্টার ওপেন করুন।
 
এখানে Change the way Security  Center Setting এ ক্লিক করে সব আনচেক  করে দিন  এবং ওকে করুন

তারপর স্টার্ট মেনুতে গিয়ে সেটিং এ গিয়ে কন্ট্রোল পানেল থেকে উইন্ডোস firewall  ওপেন করুন, অফ করে ওকে করুন।
Error রিপোর্ট Disable করতে My কম্পিউটার এর প্রপার্টিস এ গিয়ে এডভান্স এ গিয়ে Error Reporting  এ ক্লিক  করুন


Disable error এ ক্লিক করে But notify me আনচেক করে দিন।
Automatic আপডেট অফ করে রাখুন।

My কম্পিউটার এর প্রপার্টিস এ গিয়ে অটোমেটিক updates সিলেক্ট করে Turn off করে ওকে করুন।  খেয়াল করে দেখুন আপনার কম্পিউটার ফাস্ট হয়েছে।
পর্ব ৩ঃ
কোনো কিছু করার আগেই কম্পিউটার এর অতিরিক্ত ফাইলগুলো মুছে ফেলুন …
এজন্য  উইনডোজ লোগো কী + R প্রেস করে লিখুন prefetch, temp, %temp%, recent, inf এভাবে একে একে এন্টার দিয়ে সব ফাইল ডিলিট করুন।
আমরা কম্পিউটার এ বিভিন্ন রকম কাজ করে থাকি। কিছু শর্টকাট জানা থাকলে কাজ দ্রুত করা যায়।  সেরকম কিছু টিপস জেনে নিতে পারেন, অনেকে জানেন, যারা জানেননা তারা দেখুন। এর মাধ্যমে আপনারা কাজে গতিশীলতা ফিরে পাবেন। সময় বাচিয়ে অবশিষ্ট সময় অন্য কাজ করতে পারবেন।
মাউস দিয়ে কেন মাই কম্পিউটার এ ঢুকবেন, বেশিরভাগ কাজ কিবোর্ড দিয়েই করুন। উইনডোজ লোগো কী + E প্রেস করলেই আপনি মাই কম্পিউটার এ ঢুকতে পারবেন। আপনি এমএসওয়ার্ড এ ঢুকবেন, সব ভার্সন এ শর্টকাট  নেই, তাই সাভাবিকভাবে স্টার্ট মেনুতে  গিয়ে প্রোগ্রামস এ গিয়ে এমএসওয়ার্ড এ ক্লিক করে ওপেন করবেন। কিন্তু আপনি যদি উইনডোজ লোগো কী + R প্রেস করে শুধু winword লিখে এন্টার দিন, Microsoft Excel ওপেন করতে শুধু excel লিখে এন্টার দিন । এরপর থেকে শুধু উইনডোজ উইনডোজ লোগো কী + R প্রেস করে এন্টার দিলেই হলো।
মনে করুন আপনি কন্ট্রোল প্যানেল এ না গিয়ে ইউজার একাউন্ট ওপেন করবেন, উইনডোজ লোগো কী + R প্রেস করে লিখুন cmd, এন্টার দিন । এখানে একটি কমান্ড লিখুন,  C : \> nusrmgr.cpl এই কমান্ডটি লিখে এন্টার দিন। আপনি উইন্ডোজ সেটাপ দিতে গিয়ে কোনো কাজ হয়ত করতে পারবেননা, কিন্তু ফাইল কপি হওয়ার পর পরই কিবোর্ড দিয়ে Shift+F10 প্রেস করুন। কমান্ড প্রম্পট ডায়লগ বক্স আসবে।  এখান থেকে আপনি কমান্ড লেখার মাধ্যমে কন্ট্রোল প্যানেল এর বিভিন্ন অপশন এ ঢুকতে পারবেন।
আপনি এমএসওয়ার্ড এ কাজ করতে গিয়ে একবার বাংলা একবার ইংরেজি টাইপ করতে হয়, এজন্য বারবার ফন্ট পরিবর্তন করা ঝামেলা। আপনি চাইলে শর্টকাট তৈরী করে বাংলা এবং ইংরেজি একসাথে টাইপ  করতে পারেন।  তাহলে দ্রুত কাজ করা যাবে।এম এস ওয়ার্ড ওপেন করুন…
তারপর Tools অপশন এ গিয়ে customize এ ক্লিক করুন। customize ডায়লগ বক্স আসবে এখানে keyboard অপশন এ  ক্লিক করুন। তারপর customize keyboard ডায়লগ বক্স আসবে । এখানে specify a command অপশন এ categories লিস্ট এ Fonts সিলেক্ট করুন এবং Fonts লিস্ট থেকে আপনার পছন্দের ফন্ট সিলেক্ট করুন  ।  ধরুন আমরা SutonnyMJ সিলেক্ট করব সেক্ষেত্রে ফন্ট টি সিলেক্ট করুন  ।  তারপর Press  new  shortcut key অপশন এ Alt +Z  দিন এবং নিচে Assign এ ক্লিক করুন  । একইভাবে ইংরেজির জন্য  Times New Roman সিলেক্ট করে Alt + X দিন । Assign এ ক্লিক করুন,  বেস হয়ে গেল আপনার শর্টকাট।

এভাবে  দ্রুত টাইপ করলে সময় বাচবে, কাজ ও দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করতে পারবেন।
আপনার ডেস্কটপ কেই ওয়ালপেপার বানান। এজন্য ডেস্কটপ সাভাবিক অবস্থায় প্রিন্ট স্ক্রিন প্রেস করুন কিবোর্ড থেকে তারপর উইনডোজ লোগো কী + R প্রেস করে লিখুন mspaint, এন্টার দিন। এখানে Paste করুন, আপনার ডেস্কটপ এর স্ক্রিন চলে আসবে।

এরপর ওই ইমেজ এ গিয়ে রাইট বাটন ক্লিক করে set as desktop background এ ক্লিক করুন, আপনার ডেস্কটপ এর ইমেজটাই ডেস্কটপ এ সেট হয়ে যাবে। এরপর ডেস্কটপ এ রাইট বাটন ক্লিক করে Arrange Icons By থেকে Show Desktop Icons এ ক্লিক করুন। সকল আইকন অদৃশ্য হয়ে যাবে। ওয়ালপেপার হিসেবে ডেস্কটপ এ সেট করা যে ইমেজ দেখাবে তাতে কোনো আইকন আর কাজ করবেনা। আপাত দৃষ্টিতে মনে হবে এগুলো আইকন, কিন্তু ক্লিক করে উলুবনে মুক্ত ছড়ানোর মতোই হবে। কোনো আইকন কাজ করবেনা, সবাই ভাববে আপনার কম্পিউটার লক হয়ে গেছে কিংবা হ্যাং হয়ে গেছে, আপনি চাইলে আবার ডেস্কটপ ইমেজ পরিবর্তন করে দিতে পারেন। আপনার ডেস্কটপ দেখে সবাইকেই বোকা হতে হবে।


আপনার কম্পিউটার দ্রুত অফ করতে উইনডোজ লোগো কি দিয়ে দুইবার U প্রেস করলেই আপনার কম্পিউটার অফ হয়ে যাবে।  আর R প্রেস করলে রিস্টার্ট হবে।
ইউটিউব এ ঢুকতে চান কিন্তু পারছেননা, http://www.youtube.com এ গেলে ঢুকতে পারবেননা, কিন্তু লিঙ্কটি কপি করে শুধু  http এর পর s বসিয়ে ঢুকতে পারবেন, এভাবে https ://www.youtube.com   খুব শীঘ্রই ইউটিউব খুলে দিবে সরকার, সিস্টেম করে আর ঢুকতে হবেনা। কেননা আপত্তিকর ভিডিও ইতিমধ্যেই সরানো হয়েছে বলে জানিয়েছে গুগল কর্তৃপক্ষ।
আমরা  কম্পিউটার এ বিভিন্ন প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করে থাকি, আর কাজ করতে গিয়ে নানা সমস্সায় পড়ি ।  যার  মধ্যে  অন্যতম   ভাইরাস  এর সমস্যা,  ভাইরাস এর আক্রমনে   বারংবার   অপারেটিং সিস্টেম ও সেটাপ দিতে  হয় আমাদের। পেন ড্রাইভ কিংবা ইন্টারনেট  থেকে ভাইরাস ঢুকে কম্পিউটার স্লো করে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত ।   এজন্য  ভালো পরামর্শ হচ্ছে  এফেক্টিভ  লাইসেন্স কৃত এন্টিভাইরাস ব্যবহার  করা।  এজন্য  হাজার খানেক টাকা খরচ হলেও আপনার কম্পিউটার থাকবে   নিরাপদ । তাই অযথা ঝামেলা পরিহার করে লাইসেন্সকৃত এন্টিভাইরাস ব্যবহার করুন।  বেছে নিতে পারেন কেসপারস্কি, ইসেটনোড ৩২ কিংবা নর্টন এন্টিভাইরাস।
পর্ব ৪ঃ
কম্পিউটার হ্যাং হয়ে গেলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করা উচিত, অন্তত ৫ মিনিট, তারপর ctrl+alt+del দিয়ে চেষ্টা করা উচিত  চলমান প্রোগ্রামগুলো অফ করা, তাতেও কাজ না হলে রি-স্টার্ট দেয়াই শ্রেয়। কম্পিউটার হ্যাং এবং স্লো হবার সমস্যা থেকে বাচার জন্য  নিচের নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করুন, পাশাপাশি আমার পূর্বের টিউন গুলোও দেখে আসতে পারেন…
প্রথমে সাভাবিক অবস্থায় আপনার কম্পিউটার এর কন্ট্রোল প্যানেল এ যান …

তারপর এড রিমুভ প্রোগ্রাম এ গিয়ে অপ্রয়োজনীয় সফটওয়ার থাকলে সব রিমুভ করে দিন …

এবার যান সিস্টেম এ …

সিস্টেম এ গিয়ে এডভান্স অপশন এ যান … নিচে এরর রিপোর্টিং এ ক্লিক করে ডিজেবল করে ওকে করুন …

আর এডভান্স অপশন থেকে ভার্চুয়াল মেমরি বাড়িয়ে নিন এবং গ্রাফিকাল অপশনগুলো  অফ করে দিন। কিভাবে করবে তা নিয়ে পূর্বের টিউন এ আলোচনা হয়েছে।
পেন ড্রাইভ স্ক্যান না করে কম্পিউটার এ লাগিয়ে কাজ করা উচিত নয়, আপনার পিসিতে পেন ড্রাইভ লাগালেই তা অটোরান হয়ে যায়, ফলে খুব সহজেই ভাইরাস ছড়ানোর আশংকা থেকে যায়। তাই অটোরান বন্ধ করার জন্য আমরা নিচের কাজ টি করব।
প্রথমে রান এ যান কিংবা উইনডোজ লোগো কি + R  প্রেস করে তাতে লিখুন gpedit.msc  এন্টার দিন …

এখান থেকে একটি গ্রুপ পলিসি ওপেন হবে, এখানে লোকাল কম্পিউটার পলিসি থেকে কম্পিউটার কনফিগারেশন, এডমিনিস্ট্রেটিভ এর অধীনে সিস্টেম এ ক্লিক করুন …

ডান পাশে সকল অপশন গুলো শো করবে … এখান থেকে টার্ন অফ অটো  প্লে অপশন এর প্রপার্টিজ এ যান …

টার্ন অফ অটো প্লে প্রপার্টিজ এ  টার্ন অফ অটো প্লে Enabled এ ক্লিক করে টার্ন অফ অটো  প্লে অন এ all drives সিলেক্ট করে ওকে করুন।
এবার আবার একইভাবে রান এ যান কিংবা উইনডোজ লোগো কি + R  প্রেস করে তাতে লিখুন msconfig  লিখে  এন্টার দিন …
এখান থেকে অন নেসেসারি অপশন গুলো ডিজেবল করে ওকে করে দিন … এসব প্রোগ্রাম রান হয়ে থাকলে আপনার কম্পিউটার এমনিতেই স্লো হয়ে থাকবে …
এ কাজগুলো উইনডোজ সেভেন এর ক্ষেত্রেও একই রকম, আমি আপাতত উইনডোজ এক্সপির স্ক্রিন শট দিলাম …
আপনি হয়ত কাজের চাপে ভুলে গেছেন অতিরিক্ত ফাইলগুলো ডিলিট করতে … তবে এখন আর একটি একটি করে ফোল্ডার ওপেন করে ফাইল মুছতে হবেনা, একটি সফটওয়ার এর মাধ্যমেই মুছে ফেলুন একসাথে ওপেন করা অপ্রয়োজনীয় সব ফোল্ডার এর ফাইল …
পর্ব ৫ঃ
কম্পিউটারে কাজ করতে গিয়ে পেন ড্রাইভ ব্যবহার করা একটি নিত্য নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
পাশাপাশি তাতে ভোগান্তির শিকারও হতে হয় অনেককে।  পেন ড্রাইভে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল, কিন্তু কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার কারণে সব ফাইল শর্টকাট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়।  তখন ঐ ফাইল  এক্সেস করা খুব একটা সম্ভবপর হয়ে উঠে না। অনেক ক্ষেত্রে ফোল্ডার অপশনে গিয়ে ভিউ হিডেন ফাইল এবং প্রোটেক্টেড অপশন তুলে দিলে ফাইল দেখা সম্ভব হয়। তাও সব ফাইল হিডেন হয়ে থাকে, ফাইল ফরম্যাট এর এট্রিবিউট পরিবর্তন করে দেয় ভাইরাস।  যদি ফোল্ডার অপশনটাও না থাকে তবে সেক্ষেত্রে কি করবেন।
ভাইরাস এর শর্টকাটে ক্লিক করলে ফোল্ডার অপশনও চলে প্রায় সময়। রেজিষ্ট্রি এডিটরে গিয়ে যে ফোল্ডার অপশন আনবেন সে সুযোগটিও থাকে না।   রেজিষ্ট্রি এডিটর ইজ ডিসেবলড বাই ইউর এডমিনিসট্রেটর এ ম্যাসেজটি থমকে দিবে আপনাকে।   এসব ক্ষেত্রে নতুন করে উইন্ডোজ ইন্সটল করা ছাড়া আর  উপায় থাকে না।  ভাগ্যক্রমে যদি পূর্বে কখনো সিস্টেম রেস্টোর পয়েন্ট সেট করে রাখতে পারেন।  তবে সিস্টেম রেস্টোর করে এ সমস্যা থেকে নিস্তার পেতে পারেন অনেকখানি।  সকল পদ্ধতি ভেস্তে গেলেও জরুরী মুহুর্তে আপনি রান এর মাধ্যমে ফাইল খুলতে পারেন।  সেক্ষেত্রে আপনাকে ফাইল বা ফোল্ডার এর নাম মনে রাখতে হবে।
স্টার্ট মেনুতে গিয়ে রান এ যাবেন, অথবা উইন্ডোজ এর লোগো কী দিয়ে R প্রেস করবেন।   টাইপ করুন আপনার পেন ড্রাইভ এর ড্রাইভ লেটার।  যদি ড্রাইভ হয় G তবে লিখুন  G:\এভাবে লিখলেই দেখবেন সব ফাইল দেখাচ্ছে সাথে .inkথাকবে প্রত্যেকটি ফাইলের সাথে।  আপনি .inkডিলিট করে এন্টার দিলেই কাঙ্খিত ফাইল বা ফোল্ডারে ঢুকতে পারবেন।
আপনার কম্পিউটারে যদি ভাইরাসের কারণে পেন ড্রাইভের সব ফাইল শর্টকাট হয়, তবে ভালো কম্পিউটারে লাগালে সেটি ঐ কম্পিউটারকেই হ্যাং করে ফেলবে।  আপনি চোখ বুঝেই সব শর্টকাট ফাইল ডিলিট করে দিবেন।  আর  হিডেন ফাইল বা ফোল্ডার এর এট্রিবিউট পরিবর্তনের জন্য আইরিসেট সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে সেটি ওপেন করে হিডেন ফাইলগুলো ড্রাগ করে সফটওয়্যারটির ডায়লগ বক্সে ছেড়ে দিন।  তারপর রিসেট এ ক্লিক করুন।  কোন ওয়েব সাইট ওপেন হলে সেটি বন্ধ করে দিন আর দেখুন আপনার ফাইলগুলো সব ঠিক হয়ে গেছে।  তবে  এ পেন ড্রাইভ কোন ভাইরাস আক্রান্ত কম্পিউটারে ঢুকালে  আবার  শর্টকাট হবে।  আর ভালো অর্থাৎ ভাইরাসমুক্ত কম্পিউটারে লাগালে শর্টকাট আর তৈরী হবে না।
ফাইলের নাম ভুলে গেলে আরেকটি উপায়ে ফাইল বের করতে পারেন।
সর্বোপরি কম্পিউটার ফাস্ট রাখতে অনেকগুলো ফাইল একসাথে খুলে না রাখাই ভালো, আপনার যদি কম্পিউটারে র‌্যাম কম থাকে তবে সেক্ষেত্রে গ্রাফিক্স মেমরি অফ করে রাখুন, ভার্চুয়াল মেমরি বাড়িয়ে দিন আর ডিলিট করে দিন অতিরিক্ত ফাইলসমূহ।  এসব বিষয়ে আমার পূর্বের লেখাগুলোতে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে।
আপনার কম্পিউটার যদি প্রচুর পরিমাণ ফাইলে ভরপুর থাকে, তবে সেক্ষেত্রে আপনি ডিফ্রেগমেন্ট করতে পারেন মাসে ১ বার।  এটা করলে অপ্রয়োজনীয় জায়গাগুলো পূরণ হয়ে হার্ডডিস্কের স্পেস এর পরিমাণ বাড়বে, পাশাপাশি গোছানোভাবে উইন্ডোজ আপনার ফাইলগুলো ট্র্যাক অনুযায়ী সাজাবে, ড্রাইভ বা ফাইল ফোল্ডার ক্র্যাশ করার সম্ভাবনা কম থাকবে।
আপনার কম্পউটার এর কমান্ড প্রম্পট অপশন এর মাধ্যমেও ফাইল ওপেন করতে পারেন…
এজন্য রান এ যাবেন, রান এ গিয়ে টাইপ করুন cmd তারপর এন্টার দিন ..
এখানে বর্তমান ডিরেক্টরির সামনে cd.. লিখে এন্টার দিন, আবার দিন, ঠিক ড্রাইভ লেটার এর সামনে আসবেন…
এখন আপনি ওই ড্রাইভ এর সব ফাইল dir লিখে এন্টার দিয়েই দেখতে পাবেন।
একইভাবে ড্রাইভ লেটার এর সামনে পেন ড্রাইভ এর লেটার দিয়ে এন্টার দিন, C :\>  F :  Enter
 এখানে যেকোনো ড্রাইভ এর সামনে dir /s  লিখে আপনি সব ফাইল দেখতে পাবেন…
একইভাবে পেন ড্রাইভ এর ড্রাইভ লেটার এর সামনে dir লিখে এন্টার দিন, হিডেন ফাইল, ভালো ফাইল, সব ফাইল এর লিস্ট একসাথে দেখতে পাবেন, এবার হুবহু এক্সটেনশন সহ কাঙ্খিত ফাইল এর নাম লিখে এন্টার দিলেই ফাইল ওপেন হয়ে যাবে।
সবাই পারেন হয়তো, কিন্তু অনেক সময় সহজ টিপসগুলোও মাথায় আসেনা।
পর্ব ৬ঃ
কম্পিউটার এ কাজ করতে গিয়ে আমরা বিভিন্ন সমস্যায় পড়ি, বিভিন্ন সমস্যা থেকে বাচতে আমি কিছু টিপস দিব। এগুলো মেনে চললে সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা থাকবে কিছুটা কম।
  • কম্পিউটার এ কখনো ২টি এন্টিভাইরাস ইনস্টল করবেননা, তাহলে আপনার কম্পিউটার হ্যাং করবে, কোনো কাজ করতে পারবেন না  ।
  • আপনার কম্পিউটার এর ভার্চুয়াল মেমরি বাড়িয়ে রাখুন।
  • স্টার্টাপ অপশন গুলো ডিজেবল করে রাখুন
  • কম্পিউটার এর ডেস্কটপ এ হাই ডেফিনেশন ওয়ালপেপার ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন
  • আপনার কম্পিউটার ফাস্ট রাখতে সবসময় রেম খালি করে রাখুন
  • অতিরিক্ত ফাইলগুলো সব  ডিলিট করুন ৩ দিন পর পর
  • অবাঞ্চিত কোনো সফটয়ার ইনস্টল করে সি ড্রাইভ বিজি করে রাখবেননা
  • ১ মাস পরপর আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজিং হিস্টরি এবং কুকিস মুছে ফেলুন
তাতে  মজিলা ফায়ারফক্স এবং ক্রম ব্রাউজার এর স্পিড বৃদ্ধি পাবে
  •  কম্পিউটারে এন্টিভাইরাস এর লাইসেন্স কপি ব্যবহার করুন, ভালো সাপোর্ট পাবেন
  •  অযাচিত যেকোনো ওয়েব সাইট এ সাইনআপ করা থেকে বিরত থাকুন, নয়তো স্পামিং এর ঝামেলায় পড়বেন
  •  মাস খানেক পর কম্পিউটার এর রেম খুলে পরিষ্কার করে আবার লাগান, তাতে মাঝে মাঝে রিস্টার্ট হওয়া কিংবা ডিসপ্লে না আসা থেকে রেহায় পাবেন
  •  কম্পিউটার এ বেশি বেশি প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করলে অবশ্যই ইউজার ফ্রেন্ডলি অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করুন, তাতে কাজের আউটপুট ভালো পাবেন
  •  অটোমেটিক আপডেট এবং  ফায়ারওয়াল অফ করে রাখুন
  •   অনিমেট্যাড্ আইকন, থিম কিংবা প্রফাইল দিয়ে কম্পিউটার বিজি না করাই ভালো, ক্লাসিক করে রাখতে পারলে আপনি সকল কাজে ভালো স্পিড পাবেন।

এছাড়া আরো জানতে আমার সাইট থেকে ঘুরে আসুন, অনেক টিপস সম্পর্কে জানতে পারবেন।
কাজে লাগতে পারে এমন কিছু লিংক :
আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে গুগল এ সার্চ দিন, আর আপনার ব্রাউজার এর আড্রেস বারে যে সাইট এ ঢুকতে চান শুধু তার নাম লিখে Ctrl + Enter দিন, তাহলে বাম পাশে www. এবং ডান  পাশে .com চলে আসবে। মনে করুন আপনি গুগল এ ঢুকবেন তাহলে আড্রেস বারে google লিখে Ctrl + Enter দিন, এভাবে facebook লিখে Ctrl + Enter দিলেও facebook এ ঢুকতে পারবেন। এভাবে যেকোনো সাইট  এ শর্টকাটে ঢুকতে পারবেন।
আপনাদের দোয়ায় আমার বাবা হজ্জ করে সহি সালামতে দেশে ফিরেছেন এবং তিনি ভালো আছেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, অনেক অনেক ভালো।

Related Post

Previous
Next Post »

Search This Blog